ফাউল টাইফয়েড (Fowl Typhoid)
লক্ষণঃ
বাচ্চা মুরগীর ক্ষেত্রে লক্ষণ সমূহ –· ৩-৭ দিনের বয়সের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।
· অনেক বাচ্চা ডিমের মধ্যে মারা যায়।
· বাচ্চা ফুটার ট্রেতেই মৃত বা মৃতপ্রায় অবস্থায় ছানা দেখা যায়।
· মলদ্বারের চারপাশ্বে সাদা মল লেগে থাকে।
· বাচ্চার ক্ষুদামন্দা ও দূর্বলতা দেখা যায়।
· বাচ্চা বেঁচে থাকলেও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না।
বয়স্ক মুগীর ক্ষেত্রে লক্ষণ সমূহ –
· হঠাৎ বা ২-৪ ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয়।
· সবুজ ও হলুদ বর্ণের দুর্গন্ধযুক্ত মল ত্যাগ করে।
· শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, মাথার ঝুটি শুকিয়ে বিবর্ণ হয়, ৪-৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে।
রোগ নির্ণয়ঃ
· লক্ষণ দেখে রোগ নিরূপণ করা যেতে পারে এবং মুরগীর বাচ্চা পুলোরাম রূপেও সনাক্ত হতে পারে।
· এক্ষেত্রে ময়না তদন্ত এবং গবেষনাগারে পরীক্ষাই নির্ভর যোগ্য।
· যকৃত এবং প্লীহা বড় হয় এবং প্লীহাতে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফোঁটা দেখা যায়।
· তামাটে বর্ণের যকৃত হচ্ছে এ রোগ নির্ণয়ের একমাত্র চিহ্ন।
চিকিৎসাঃ
মাইক্রোনিড প্রতি লিটার খাবার পানিতে ০.৫ থেকে ১.০ গ্রাম মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়াতে হবে।
অথবা, এনরোসিন প্রতি লিটার খাবার পানিতে ০.৫ মিলি মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।
প্রতিরোধঃ
1. রোগ দেখা দিলে চিকিতসার পাশাপাশি খামার ঘর, ফার্মের লিটার, খামার সরমঞ্জামাদি ফরমালিন বা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট জাতীয় জীবাণুনাশক ব্যাবহার করে ধুয়ে পরিস্কার করা উচিত।
2. ঘরে সরমঞ্জামাদিসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণু মুক্ত করতে হবে।
3. সর্বদা মুরগীর খামারের ঘর গুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত বিধিব্যবস্থা অবলম্বন করা উচিত।
No comments:
Post a Comment