Saturday, March 14, 2020

Quarantine -কোয়ারেন্টাইন বা সংঘ নিরোধ


Quarantine বা সংঘ নিরোধ




Quarantine কি?

Quarantine একটি ইংরেজী শব্দ। যার বাংলা অর্থ সংঘ রোধ।
সহজ ভাষায় কোয়ারেনটাইনের সংজ্ঞা যদি বলি তাহলে এভাবে বলতে পারি- Quarantine হচ্ছে একটা পদ্ধতির নাম। যে পদ্ধতিতে একটা ফার্মে নতুন হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল বা পাখি আনা হলে সেই পশু-পাখি যেন খামারে পূর্বে থাকা প্রাণী গুলোর মাঝে কোন রোগ, পরজীবী ইত্যাদি না ছড়াতে পারে তার বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনাই Quarantine.
এটি একটি স্বাস্থ্যগত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যার দ্বারা যেকোন বহিরাগত প্রাণীকে ‍নিজের সংগ্রহে নেয়ার আগে সেই প্রাণীদেরকে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করা হয়।
জেনে রাখা ভালো Quarantine শুধুমাত্র পশু পাখির জন্যই প্রযোজ্য না। বরঞ্চ প্রাণী জগতের সমস্ত প্রাণী  এমনকি গাছপালার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
চলুন আজকে আমরা হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিজের সংগ্রহে নেয়ার আগে কিভাবে কোয়ারেনটাইন করতে হয় সেটা শিখি।
Quarantine কেন করতে হয়?
আপনি শখ করে অল্প কিছু হাঁস-মুরগি কিংবা কয়েকটা ছাগল-ভেড়া পালন করছেন। আপনি নিয়মিত তাদের ভ্যাকসিনেশন করছেন এবং কৃমি বা পরজীবী মুক্ত রাখছেন।
এমতাবস্থায় কোন প্রয়োজনে আপনি কোন হাট হতে অথবা কোন খামার হতে ১-২টা নতুন প্রাণী বা পাখি নিয়ে আসলেন। আর এনেই ধুম করে আপনার প্রাণী বা পাখিগুলোর সাথে ছেড়ে দিলেন।
কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সাজানো বাগান পূর্বের ন্যায় সুসজ্জিত নাও থাকতে পারে। কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ আপনার খামারে হানা দিতেপারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আন্তঃ এবং বহিঃপরজীবী আপনার পুরো ফার্মে ছড়িয়ে যেতে পারে।
ফলস্বরূপ- যেটা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিছু বুঝে উঠার আগেই মহামারিতে সব শেষ। অথবা পরজীবী বা অন্যকোন রোগ আপনার ফার্মে ছড়িয়ে উৎপাদন ব্যহত করবে এবং আপনি অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এসব অনাকাংখিত দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যেই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে Quarantine করতে হয়।

কিভাবে Quarantine করতে হয়?
১। প্রথমে (নিরাপদ দূরত্ব ১০০মিটার) দূরে একটি ঘর বানাতে হবে। বাহির হতে আনা প্রাণী সেই ঘরে রাখতে হবে।
২। কোন প্রাণী অসুস্থ থাকলে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
৩। এরপর পাঁচ দিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং লেবুর সরবত দেয়া যেতে পারে যাতে দ্রুত ধকল কাটিয়ে উঠে।
৪। এরপর কৃমি মুক্ত করতে হবে।
৫। কৃমিমুক্ত করার পরদিন হতে তিন দিন লিভারটনিক দেয়া যেতে পারে।
৬। এরপর অক্সিটেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ঔষধ দেয়া যেতে পারে পাঁচ দিন। যাতে কোন ধরনের ছোটখাটো ব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ থাকলে তা রিকভার করে।
৭। এরপর ভালমানের কোন মাল্টিভিটামিন দেয়া যেতে পারে ৫-৭দিন।
৮। এরপর হাঁস হলে ডাকপ্লেগ, টার্কি বা মুরগি হলে রানিক্ষেত, ছাগল-ভেড়া হলে পিপিআর এবং গবাদি পশু হলে ক্ষুরা রোগের ভ্যাক্সিন করতে হবে।
৯। এরপর রোদ্রজ্জল দিন হলে উকুননাশক সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে দিবেন যাতে বহিঃপরজীবী মুক্ত হয়।
১০। আরো কয়েকদিন অবজার্ভ করে কোন ধরনের অস্বাভাবিকতা বা অসুস্থতা না থাকলে মুল শেডে প্রবেশ করাতে হবে।
১১। পুরো প্রসেসটি পার হতে অন্তত ২১দিন সময় লাগবে। এই সময়টা অবশ্যই দিতে হবে।
হুট করেই ভ্যাকসিন দেয়া যাবেনাঃ
কোন পশু পাখি অন্য কোন স্থান হতে এনেই ভ্যাকসিন দিয়ে দেয়া যাবেনা। আমরা যে ভ্যাকসিন দেই তা কিন্তু এক ধরনের ভাইরাস। সহজভাবে বলতে গেলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এন্টি ভাইরাস। যে কারনে পশু পাখি কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত থাকলে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে।

No comments:

Post a Comment