রক্তা আমাশয় (Coccidiosis)
রক্তা আমাশইয়ের লক্ষণঃ
Ø রক্ত মিশ্রিত মল ও মৃত্যু এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
Ø আক্রান্ত মুরগির বাচ্চা চোখ বন্ধ করে ঝিমাতে থাকে।
Ø ডানা ঝুলে পড়ে।
Ø প্রচুর পানি পান করে অথবা পিপাসা বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুন।
Ø পাতলা পায়খানা সাথে লালচে জাতীয় পদার্থ বা মিউকাস থাকে।
Ø আস্তে আস্তে বাচ্চা রক্ত শুন্যতায় দূর্বল হয়ে মরতে শুরু করে।
Ø ছোট বাচ্চাদের মৃত্যুর হার ৮০-৯০% হয়।
Ø বড় মুরগি রক্ত আমাশয় দেখা দিলে মাথার ঝুঁটি ও গলার ফুল ফেকাসে দেখায় এবং পায়খানার সাথে মরা রক্ত বের হয়।
Ø মৃত্যুর সংখ্যা খুব কম।
Ø বড় মুরগি এ রোগের জীবানু বহনকারী হিসাবে কাজ করে।
রক্তা আমাশইয়ের রোগ নির্ণয়ঃ
- লক্ষণ পর্যালোচনা করে এ রোগ নির্ণয় করা যায়
- আক্রান্ত মুরগির বাচ্চা/ মুরগিদের পায়খানা মাইক্রোস্কোপে পরিক্ষা করে রপগ নির্ণয় করা যায়।
- মৃত্য মুরগি ময়না তদন্ত করে পরিপাক্তন্ত্রের দেয়ালে ও সিকামে রক্ত মিশ্রিত পায়খানা, রক্ত ক্ষরণ দেখে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।
রক্তা আমাশইয়ের চিকিৎসাঃ
=> এমবাইজিন পাউডার ৫০০ গ্রাম
২ গ্রাম ঔষধ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে পর পর ৩ দিন চলবে।
এর পর ২ দিন শুধু মাত্র পানি চলবে।
পরের ৩ দিন ঔষধ চলবে।
এর পর ২ দিন শুধু মাত্র পানি চলবে।
পরের ৩ দিন ঔষধ চলবে।
অথবা,
ই এস বি ৩ ৩০% ভেট প্যাকেটের নির্দেশনা অনুসারে খাওয়াতে হবে।
রক্তা আমাশইয়ের প্রতিরোধঃ
নিম্নের যে কোন একটি ঔষধ মুরগির বাচ্চা/ চিক রিয়ারিং ইউনিটে ব্যাবহার করে রক্তামাশায় রোগ প্রতিরোধ করা যায়। যেমন- লারবেক্স, কারডিন-২৫, ডিকক্সিপ্রিমিক্স ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment