দেশি মুরগির অনেক জাত এখন বিলুপ্তপ্রায়। অথচ গ্রামীণ জনপদে একটা সময় আমিষের অন্যতম জোগান আসত এই মুরগির মাংস ও ডিম থেকে। স্বল্প খাবারে বেড়ে ওঠায় এসব মোরগ-মুরগি বিক্রি করে দরিদ্র জনগেষ্ঠী আর্থিকভাবেও লাভবান হতো । পোলট্রি আসার পর ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে দেশি জাত ।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। সাত ধরনের পিউর লাইনদেশি মুরগির উদ্ভাবন করছে। এগুলো হলো,
১। রেড জাঙ্গল ফাউল (বন মোরগ)।
২। সিলেটের পাহাড়ি এলাকার হিলি,
৩। নেকেড নেক (গলা ছিলা),
৪। ফ্রিজেল
৫। আচিল
৬। কাদাকনাথের ক্রসব্রিডিং ।
৭। পুলিশ কেপ-মাথায় পাল্কের ঝুটি বিশিষ্ট ।
এছাড়াও আরো অনেক জাতের দেশি মুরগী রয়েছে তবে এই জাতের মুরগী গুলো উন্নত। বাণিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগী পালনের জন্যে এই জাত গুলো পাওয়া না গেলে পাড়া মহল্লা থেকে বাছাই করে দেশি মুরগী পালন শুরু করতে হবে। আমি ব্যাক্তি গত ভাবে এই ভাবে সংগ্রহ করে বাণিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগি পালন শুরু করেছি।
দেশি মুরগী পাড়া থেকে বাছাই করার সময় যে বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবেঃ-
১। এমন কালার বাছাই করতে হবে যেন সোনালী মুরগীর কালারের সাথে কোন ভাবে মিলে না যায়।
২। ওজন -
ক) মুরগী (Female) ওজন কমপক্ষে ১.৫-১.৮ কেজি হতে হবে।
খ) মুরগ(male) ওজন কমপক্ষে ২.০-২.৫ কেজি হতে হবে।
৩। যথাসম্ভব লাল কালার পরিহার করতে হবে।
৪। বাছায়ের সময় গলাচিলা জাতের মুরগীকে প্রধান্য দিতে হবে।
৫। মাথায় পাল্কের ঝুটি বিশিষ্ট মুরগী আদি কালের দেশি মুরগী হিসাবে পরিচিত। তাই এই জাতটি পাওয়া গেলে বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হওয়া যাবে।
৬। সাদা, কালো, লাল মিশ্রিত কালারের মুরগী বাছাই করতে হবে।
৭। খাটো পা বিশিষ্ট মুরগী বাছাই করতে হবে।
৮। পা যেন হলুদাবর্ণের হয়, যদিও বাণিজ্যিক ভাবে পালন করতে গেলে দেশি মুরগীর পা হলুদাবর্ণ থাকে না।
উল্লেক্ষিত বৈশিষ্টের জাত গুলো পাওয়া গেলে মার্কেটিং করতে কোন সমস্যা হবে না।
No comments:
Post a Comment