গামবোরো (Gumbora)
গামবোরো রোগের লক্ষণঃ
· আক্রান্ত মুরগির ক্ষুধা মন্দা ও দূর্বলতা, ময়লাযুক্ত পায়ুস্থান ও পানির ন্যায় সাদা ডায়ারিয়া দেখা দেয়।
· এছাড়া বিভিন্ন রঙ্গয়ের পাতলা পায়খানা করে, ঝিমানো, চোখ বুজে থাকা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, কাঁপুনী, অতি ক্লান্তিতে মাটিতে শুয়ে পড়ে।
· ডিহাইড্রেশনের কারণে দ্রুত ঝাঁকে ঝাঁকে মুরগি মারা যায়।
· এ রোগে খামারের মুরগির বাচ্চা মৃত্যুও হার ৩০-৪০% কখনো তার বেশী হয়।
· হঠাৎ পড়ে গিয়ে ছুটা ছুটি করে মারা যায়।
· প্রথম দিকে খামারের মৃত্যুর হার বেশী থাকে। ৪-৫ দিন পর মৃত্যুর হার কমে আসে।
· গামবোরো রোগে বেঁচে থাকা মুরগি মারাত্মক ভাবে উৎপাদন ক্ষমতা হারায়।
গামবোরো রোগের নির্ণয়ঃ
1. আক্রান্ত মুরগির লক্ষণ্ন আচরন এবং মৃত্যুর হার দেখে এ রোগ সম্পর্কে অনুধাবন করা যায়।
2. ময়না তদন্ত করে এ রোগ সহজে নিরুপন করা যায়। এ রোগে মুরগির মলদ্বারের উপর বারসা বৃদ্ধি পায়, মটর শুটির চেয়ে ৩-৪ গুন বড় হয় এবং পরিবর্ত্ন হয়। এ ছাড়া বাসরায় রক্তক্ষরণ দেখা যায়। এছাড়াও উল্লেখ্যযোগ্য লক্ষণ হলো উরুর মাংসে/ডানার/বুকের মাংসে রক্তের কণা জমাট বাধা দেখা যায় অর্থাৎ মরা রক্তের কালচে pin point hemorrhage দেখা যায়।
গামবোরো রোগের চিকিৎসাঃ
ভাইরাস জনিত রোগের সাধারণত কোন চিকিৎসা নেইঃ আক্রান্ত মুরগির অন্যান্য জিবানুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যয় এন্টিভাইটিক দিতে হবে। নিন্ম লিখিত চিকিৎসা গুলো দিলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। যে কোন একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিভাইটিক, যেমনঃ
১। enrox-10, Anro-10 ৫মিলি ওষুধ ২-৪ লিটার পানিতে মিশিয়ে পর পর ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।
২। ভিনিগার মিশিয়ে পানি পান করাতে হবে।
৩। যে কোন একটি মাল্টিভিটামিন প্যাকেটে নির্দেশিত মোতাবেক খাওয়াতে হবে।
গামবোরো রোগ প্রতিরোধঃ
জন্মের পর থেকে ১৪ দিনের মধ্যে গামবোরো ভ্যাক্সিন প্রদান করতে হবে। ২১ দিনে আবার Booster dose দিতে হবে। বায়োসিকোরিটি মানতে হবে।
No comments:
Post a Comment