Wednesday, April 15, 2020

মাইকোপ্লাজমোসিস।।Mycoplasmosis


মাইকোপ্লাজমোসিস(Mycoplasmosis)

মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম (Mycoplasma galliseoticum) ও মাইকোপ্লাজমা সইনোভি (Mycoplasma synovi) নামক ব্যাকটেরিয়া। 

লক্ষণঃ


মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম ইনফেকশানের ক্ষেত্রে লক্ষণ-


  •  শ্বাসকষ্ট, কাশি ও নাক দিয়ে তরল পদার্থ নির্গত এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট।


  •  এ রোগ ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস রোগের জটিলতা সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘস্থায়ী ভাবে ভোগান্তি সৃষ্টি করে।


  •  বয়স্ক মুরগী ও টার্কি রোগে ভোগতে ভোগতে অনেক সময় বিনা চিকিৎসায় ভাল হয়।


  •  মুরগীর বাচ্চার খুব হাঁচি হয়।


  •  ক্ষুধামন্দ, দিন দিন শুকিয়ে যাওয়া।


  •  ডিম পাড়া কমিয়ে দেয়।

মাইকোপ্লাজমা সইনোভি ইনফেকশানের ক্ষেত্রে লক্ষণ-



  •  ব্রয়লার মুরগীর ৩-৭ সাপ্তাহ বয়সে হয়।


  •  এ রোগে শ্বাস হা করে নেয়।



  •  দেহের ভিবিন্ন গিট ফুলে যায়।



  •  সবুজ পাতলা পায়খানা হয়।



  •  আক্রান্ত অস্থি সন্ধি স্ফীত থাকে এবং হক অস্থি সন্ধি ও ফুট প্যাড প্রধানত আক্রান্ত হয়।


রোগ নির্ণয়ঃ


বৈশিষ্টপূর্ণ লক্ষণ দেখে ও Post mortem এ pathononiic lesions দেখে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসাঃ


১ গ্রাম টিয়ামুটিন ৪৫% ও ১০ গ্রাম সিটিসি সলিউবল যৌথভাবে প্রতি ৩-৪ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যায়।

অথবা,

টাইলোসেফ ২০০ পাউডার ২.৫ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে পর পর ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে।

প্রতিরোধঃ


1. ব্রীডার ও লেয়ার মুরগীতে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার যেসব ঝাঁকে এ রোগের জীবাণু পাওয়া যাবে ঐসব ঝাঁকে থেকে মুরগীর ডিম ফুটানো উচিত নয় এবং আক্রান্ত মুরগী সরিয়ে ফেলে চিকিৎসা করতে হবে।

2. সর্বদা মুরগীর খামারকে স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থায় রাখাতে হবে।

3. সময়মত টিকা প্রদান করা উচিত।

No comments:

Post a Comment