গোলকৃমি আক্রমন (Round Worm)
মুরগির গোলকৃমি আক্রমনের লক্ষণঃ
Ø পালক উসক-খুসকো দেখা জয়ায়।
Ø শরীর বৃদ্ধি হয় না।
Ø বুকের হাড় সহজে দেখা যায়।
Ø পাখায়না পাতলা করে।
Ø মাঝে মাঝে পায়খানায় সুতার ন্যায় কৃমি দেখা যায়।
Ø রক্ত শুণ্যতা দেখা যায়।
Ø মুরগি ক্রমে দূর্বল হতে থাকে।
Ø ডিম উৎপাদন কমে যায়।
Ø কোন কোন সময় কৃমি অন্তনালীতে এত বেশি পরিমানে হয় যে অন্তনালী কৃমি দ্বারা বন্ধ হয়ে যায় ফলে মুরগি না খেয়ে মারা যায়।
Ø অবশেষে মুরগি মৃত্যুবরণ করে।
মুরগির গোলকৃমি আক্রমনের রোগ নির্ণয়ঃ
বৈশিষ্টপূর্ণ উপসর্গ ও রোগের ইতিহাস জেনে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।
মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে মুরগির মল মূত্র পরিক্ষা করে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।
ময়না তদন্তের মাধ্যমে অন্তনালীতে কৃমির উপস্থিতি দেখে এই রোগ নির্ণয় করা যায়।
মুরগির গোলকৃমি আক্রমনের চিকিৎসাঃ
এভিপার ১০ গ্রাম পাউডার ৬ লিটার পানিতে (১০০টি ৬ সপ্তাহে বাচ্চা অথবা ৩০ টি পূর্ণবয়স্ক মুরগির জন্যে) মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
পোলনেক্স প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.০০৮ গ্রাম হিসাবে পানির সাথে মিশিয়ে ১ দিন খাওয়াতে হবে।
মুরগির গোলকৃমি প্রতিরোধঃ
মুরগির বয়স যখন ৪২ দিন সে সময় থেকে কৃমিনাশক প্রথম বার উপরে বর্ণিত নিয়মে খাওয়াতে হবে। ৯০-১০০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার এবং ডিম পাড়ার সময়ের মধ্যে ২ মাস অন্তর অন্তর কৃমি নাশক দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment