Friday, April 17, 2020

পল্টির রক্তা আমাশয়।।Poultry Coccidiosis





রক্তা আমাশয় (Coccidiosis)


রক্তা আমাশইয়ের লক্ষণঃ 


Ø     রক্ত মিশ্রিত মল ও মৃত্যু এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

Ø     আক্রান্ত মুরগির বাচ্চা চোখ বন্ধ করে ঝিমাতে থাকে।

Ø     ডানা ঝুলে পড়ে।

Ø     প্রচুর পানি পান করে অথবা পিপাসা বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুন।

Ø     পাতলা পায়খানা সাথে লালচে জাতীয় পদার্থ বা মিউকাস থাকে।

Ø     আস্তে আস্তে বাচ্চা রক্ত শুন্যতায় দূর্বল হয়ে মরতে শুরু করে।

Ø     ছোট বাচ্চাদের মৃত্যুর হার ৮০-৯০% হয়।

Ø     বড় মুরগি রক্ত আমাশয় দেখা দিলে মাথার ঝুঁটি ও গলার ফুল ফেকাসে দেখায় এবং পায়খানার সাথে মরা রক্ত বের হয়।

Ø     মৃত্যুর সংখ্যা খুব কম।

Ø     বড় মুরগি এ রোগের জীবানু বহনকারী হিসাবে কাজ করে।

রক্তা আমাশইয়ের রোগ নির্ণয়ঃ 



  1.  লক্ষণ পর্যালোচনা করে এ রোগ নির্ণয় করা যায়
  2.  আক্রান্ত মুরগির বাচ্চা/ মুরগিদের পায়খানা মাইক্রোস্কোপে পরিক্ষা করে রপগ নির্ণয় করা যায়।
  3.  মৃত্য মুরগি ময়না তদন্ত করে পরিপাক্তন্ত্রের দেয়ালে ও সিকামে রক্ত মিশ্রিত পায়খানা, রক্ত ক্ষরণ দেখে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।

রক্তা আমাশইয়ের চিকিৎসাঃ 


=>      এমবাইজিন পাউডার ৫০০ গ্রাম

২ গ্রাম ঔষধ ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে পর পর ৩ দিন চলবে।

এর পর ২ দিন শুধু মাত্র পানি চলবে।

পরের ৩ দিন ঔষধ চলবে।

এর পর ২ দিন শুধু মাত্র পানি চলবে।

পরের ৩ দিন ঔষধ চলবে।

অথবা,

ই এস বি ৩ ৩০% ভেট প্যাকেটের নির্দেশনা অনুসারে খাওয়াতে হবে।

রক্তা আমাশইয়ের প্রতিরোধঃ 


নিম্নের যে কোন একটি ঔষধ মুরগির বাচ্চা/ চিক রিয়ারিং ইউনিটে ব্যাবহার করে রক্তামাশায় রোগ প্রতিরোধ করা যায়। যেমন- লারবেক্স, কারডিন-২৫, ডিকক্সিপ্রিমিক্স ইত্যাদি।

Murgir Rokto Amasoy



পল্টি ক্যানাবলিজম।।Canabolism



পল্টি ক্যানাবলিজম (Canabolism)


প্রধানত পুষ্টিহীনিতা, টাসাটাসি পালন, বহিপরজীবি, ঘরে বেন্টিলেশন কম হলে, আবাহাওয়া অতন্ত্য চরম ভাবাপন্ন, ঘরে আলোর পরিমাণ মাত্রাতিক্ত ফিলেট খাদ্য খাওয়ালে ইত্যাদি।

পল্টির ক্যানাবলিজমের লক্ষণঃ


Ø দলছুত হয়ে এক কোনে বসে থাকে।

Ø পায়ে টুকরানো।

Ø পালক তোলে ফেলা।




Ø পায়ের আঙ্গুল টুকরানো।

Ø অন্য মুরগির সাথে টুকরা টুকরি।

Ø নিজের ডিম ভেঙ্গে খেয়ে ফেলা।


Ø ওনেক সময় দেখা যায় টুকরা টুকরির ফলে রক্ত বের হয়।

Ø এই ক্ষত স্থানে অন্য মুরগিও টুকরাতে শুরু করে।

Ø কখোনো কখোনো টুকরাতে টুকরাতে মেরে ফেলে।

পল্টির ক্যানাবলিজমের রোগ নির্ণয়ঃ 


বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ও রোগের ইতিহাস জেনে এই রোগ নির্ণয় করা যায়।

পল্টির ক্যানাবলিজমের চিকিৎসাঃ 


কারন অনুযায় চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করেতে হবে-

  •  মুরগিকে খাদ্য গ্রহনের ও পানি পানের পর্যাপ্ত জায়গা, পর্যাপ্ত বাসস্থান নিয়মিত পানি ও খাদ্য সরবরাহ করেলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।


  •  বাড়ন্ত বয়সে (৪-৬ সাপ্তাহ) পাখির ঠোঁট কর্তন/ ডেবিকিং করলে বহুলাংশে প্রতিরোধ হয়।
  • কোন মুরগির গায়ে ক্ষত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁক হতে সরিয়ে নিতে হবে।

Murgir tukratukrir Samadan cikitsa, 

Murgir maramarir cikitsa samadan, 

মুরগির টুকরাটুকরি চিকিৎসা সামাধান,

মুরগির মারামারির চিকিৎসা সামাধান,

গবাদি পশুর চিকিৎসা

গবাদি পশুর চিকিৎসা

Thursday, April 16, 2020

মুরগির মাইটস আক্রমন।।Poultry Mites Infestation


মাইটস আক্রমন (Mites Infestation)

পোল্ট্রির মাইটস এ রোগের কারণ।

মুরগির মাইটস আক্রমনের লক্ষণঃ

Ø পাখির অস্থিরতা প্রকাশ পায়।

Ø আহার কমে যায়।

Ø রক্তশুন্যতায় ভূগে।

Ø শরীরের বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে।

Ø ক্ষতের সৃষ্টি করে।

Ø গায়ের পায়ের আঁশ সৃষ্ট হয়।

Ø মাইট্রেট আক্রান্ত স্থান প্রচুর চুলকায়।

Ø ক্ষত ও পালক তুলে ফেলে।

মুরগির মাইটস রোগ নির্ণয়ঃ


বৈশিষ্টপূর্ণ উপসর্গ ও চাক্ষুস পরিক্ষা ও রোগের ইতিহাস জেনে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।

চিকিৎসা ও প্রতরোধঃ

মুরগির ঘরে ও দেহে উকুন ও মাইটস মারার জন্যে কিটনাশক ঔষধ ব্যাবহার করতে হবে।

ম্যালাথিন ৫% পানিতে অথবা সেভিন ৫ গ্রাম/ ৫ মিলি ঔষধ ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০ টি মুরগিকে স্প্রে করতে হবে।

সাবধানতাঃ


  •  ঔষধ কোন ক্রমে মাত্রার বেশি দেওয়া যাবে না।
  •  স্প্রে করার ২ ঘন্টা পর পরিস্কার পানি দিয়ে পাখির পালক ধুঁইয়ে মুছে দিতে হবে।
  •  মুরগির গায়ে ক্ষত থাকলে স্প্রে করা ঠিক নয়।
  •  স্প্রে করার সময় ঔষধের পানি চোখ, মুখ, কানে প্রয়োগ করা যাবে না।
  •  ঔষধ দিনে একবার প্রয়োগ করা যাবে।
 ঔষধ প্রয়োগের ১৪ দিন পর পুনরায় প্রয়োগ করতে হবে।

মুরগির উকুন
মুরগির মাইট
Murgir ukun
Murgir mait

মুরগির উকুন।।Lice



মুরগির উকুন (Lice)


উকুনের লক্ষণঃ


Ø মুরগি সর্বদা বিরক্তিবোধ করে, ঠোঁট দিয়ে সর্বদা পালক চুলকায়।

Ø ওজন হ্রাস পায় এবং রক্তশুন্যতায় ভোগে।

Ø এ রোগে আক্রান্তের ফলে ডিম উৎপাদন অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পায়।

Ø সর্বদা পালক চুল্কানোর ফলে পালক সমূহ নষ্ট হয়ে যায়।

Ø মুরগিকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে উকুন দেখা যায়।

মুরগির উকুনের চিকিৎসা বা প্রতিরোধঃ 


কাঠ পোড়ানো ছাই ২ ভাগ সোডিয়ামফ্লোরাড ১ ভাগ ২১ অনুপাতে মিশিয়ে পাফের সাহায্যে আক্রান্ত মুরগির মাথা পালকের গোড়া, লেজ ও মলদ্বারের চারপাশে আস্তে আস্তে বুলিয়ে ঝেড়ে ফেলতে হবে। ঔষধটি যাথে মুরগির চোখে মুখে না যায়।

Murgir ukun

মুরগির বৃহদান্তে কৃমি ।।Heterkis gallinarum



বৃহদান্তে কৃমি (Heterkis gallinarum)


Heterkis gallinarum নমক গোল কৃমি।

বৃহদান্তে কৃমিরোগের লক্ষণঃ


Ø বাদামী রঙের পাতলা পায়খানা করে।

Ø আক্রান্ত মুরগির খাদ্য খাওয়া কমে যায় এবং আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়।

Ø ডিমপাড়া মুরগির ডিম একেবারে কমে যায়।

Ø পালক উসকো-খুসকো হয়ে যায়।

বৃহদান্তে কৃমিরোগের চিকিৎসাঃ


  •  এভিপার ১০ গ্রাম পাউডার ৬ লিটার পানিতে (১০০টি ৬ সপ্তাহে বাচ্চা অথবা ৩০ টি পূর্ণবয়স্ক মুরগির জন্যে) মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
  • পোলনেক্স প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.০০৮ গ্রাম হিসাবে পানির সাথে মিশিয়ে ১ দিন খাওয়াতে হবে।

মুরগির গোলকৃমি আক্রমন (Round Worm)


গোলকৃমি আক্রমন (Round Worm)


অ্যাকরিডিয়া গেলি (Ascadia galli) নামক গোলকৃমি।

মুরগির গোলকৃমি আক্রমনের লক্ষণঃ


Ø পালক উসক-খুসকো দেখা জয়ায়।

Ø শরীর বৃদ্ধি হয় না।

Ø বুকের হাড় সহজে দেখা যায়।

Ø পাখায়না পাতলা করে।

Ø মাঝে মাঝে পায়খানায় সুতার ন্যায় কৃমি দেখা যায়।

Ø রক্ত শুণ্যতা দেখা যায়।

Ø মুরগি ক্রমে দূর্বল হতে থাকে।

Ø ডিম উৎপাদন কমে যায়।

Ø কোন কোন সময় কৃমি অন্তনালীতে এত বেশি পরিমানে হয় যে অন্তনালী কৃমি দ্বারা বন্ধ হয়ে যায় ফলে মুরগি না খেয়ে মারা যায়।

Ø অবশেষে মুরগি মৃত্যুবরণ করে।

মুরগির গোলকৃমি আক্রমনের রোগ নির্ণয়ঃ 


 বৈশিষ্টপূর্ণ উপসর্গ ও রোগের ইতিহাস জেনে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।

 মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে মুরগির মল মূত্র পরিক্ষা করে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।

 ময়না তদন্তের মাধ্যমে অন্তনালীতে কৃমির উপস্থিতি দেখে এই রোগ নির্ণয় করা যায়।

মুরগির গোলকৃমি আক্রমনের চিকিৎসাঃ 


             এভিপার ১০ গ্রাম পাউডার ৬ লিটার পানিতে (১০০টি ৬ সপ্তাহে বাচ্চা অথবা ৩০ টি পূর্ণবয়স্ক মুরগির জন্যে) মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

             পোলনেক্স প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.০০৮ গ্রাম হিসাবে পানির সাথে মিশিয়ে ১ দিন খাওয়াতে হবে।

মুরগির গোলকৃমি প্রতিরোধঃ 


মুরগির বয়স যখন ৪২ দিন সে সময় থেকে কৃমিনাশক প্রথম বার উপরে বর্ণিত নিয়মে খাওয়াতে হবে। ৯০-১০০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার এবং ডিম পাড়ার সময়ের মধ্যে ২ মাস অন্তর অন্তর কৃমি নাশক দিতে হবে।